নানান কারণে চুল রুক্ষ ও কোঁকড়া হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ফাটা, ভেঙে যাওয়া এমনকি চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে রুক্ষ চুলের ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে জানানো হল।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:
সুস্থ চুলে পিএইচ’য়ের মাত্রা ৪.৫ থেকে ৫.৫, যা একে অম্লীয় করে। চুল ক্ষারীয় হয়ে গেলে, ‘কিউটিকল’ উন্মুক্ত হয়, যা চুলকে করে তোলে রুক্ষ। অ্যাপল সাইডার খানিকটা অম্লীয়। তাই চুলের রুক্ষভাব কমাতে, চুলে ব্যবহার করা প্রসাধনীর অবশিষ্ট দূর করতে ও চুল চকচকে করতে এটা কার্যকর।
সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পুর পরে পানির সঙ্গে অ্যাপল সাইডার মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন, ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ডিমের সঙ্গে কাঠবাদামের তেল:
ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। আর এটা চুলের ক্ষত মেরামত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে কাঠবাদামের তেল চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক। রুক্ষ চুলের সমস্যায় এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো।
একটা ডিম ও এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ কাঠবাদামের তেল ভালো মতো মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। চুল কয়েকটি ভাগে ভাগ করে মাথার ত্বক ও চুলে মাস্কটি ব্যবহার করুন। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
চুল আর্দ্র রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বল দেখাতে সপ্তাহে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।
কলা ও মধুর মাস্ক:
কলা চুল ‘কন্ডিশনিং’ করতে খুব ভালো কাজ করে। বিশেষ করে এটা যখন মধুর সঙ্গে মেশানো হয় তখন এর কার্যকারিতা আরও বাড়ে। মধু চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
মধু ও কলা একসঙ্গে চুলের মলিনভাব কমায় ও রুক্ষভাব দূর করে।
পাকা কলা ভালো মতো ভর্তা করে এর সঙ্গে দুই চা-চামচ মধু ও এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ নারিকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। খুব বেশি রুক্ষ চুলে ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন।