তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় রাউজানের চুয়েট ক্যাম্পাসে প্রায় ৫ একর জমির ওপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা একটি ইনকিউবেশন ভবন এবং ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬ তলা একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন নির্মিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বপ্রথম স্থাপিত চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের (ভার্চুয়াল) সদয় সম্মতি দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, শেখ জামাল ডরমিটরি ও রোজী জামাল ডরমিটরির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানটি গণভবন, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও চুয়েট তিন প্রান্ত থেকে একযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম-৬ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী এবং শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটররের উপকারভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনকে আরও সম্মৃদ্ধ করার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরও অবারিত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) সর্বপ্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হচ্ছে একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে এমন আশা সংশ্লিষ্টদের।