চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর যেন দুর্দশা কাটছেই না চেলসির। এবার এভার্টনের মাঠে খেলতে গিয়ে ১-০ গোলে হেরে এলো ব্লুজরা।
আর্সেনালের কাছে ৪-২ গোলে হারের পর ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ই যা স্বস্তি ছিল চেলসির। এরপর ম্যানইউর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র এবং সর্বশেষ আজ তারা হেরে গেলো পয়েন্ট তালিকায় ১৮ নম্বরে থাকা এভার্টনের কাছে।
এই পরাজয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে সরানো যায়নি চেলসিকে। ৩৪ ম্যাচ শেষে চেলসির পয়েন্ট ৬৬। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৬১। ৩৪ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানসিটি এবং ৮২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লিভারপুল।
এই জয়ে লাভ হয়েছে সবচেয়ে বেশি ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল এভার্টনের। অবনমন অঞ্চলে থাকা দলটির ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৩২। ১৯তম দলের সঙ্গে তাদের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ১০ পয়েন্টের।
গোডিসন পার্কে এভার্টনের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি এসেছে ব্রাজিলিয়ান তারকা রিচার্লিসনের পা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপরই, ৪৬তম মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
তবে রিচার্লিসন গোল করে জয় এনে দিলেও এভার্টনের এই জয়ে সবচেয়ে বড় নায়ক ছিলেন তাদের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। গোলপোস্টের সামনে যেন অবিচল এক পাহাড়ের মতই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। চেলসির আক্রমণভাগের মুহূর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়েছিলেন তিনি। অনেকগুলো নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পিকফোর্ড বলেন, ‘এটাই সেই পারফরম্যান্স, যার জন্য আমি আজ এখানে। তবে এই জয় দলীয় প্রচেষ্টারই অংশ। আর দিন শেষে আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, ৩ পয়েন্ট পাওয়া, সেটাই পেয়েছি।’