আগামী ২৩ শে ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের তফসিল ভুক্ত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন পত্র জমা না দিতেই শুরু হয়েছে সম্ভব্য স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী বৈঠকে হামলা ও ভাংচুর।
২০ নভেম্বর শনিবার রাত অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দি জহুরুল ইসলাম জাহিদের উঠান বৈঠকে হামলা চালিয়ে প্রায় ৪ শত চেয়ার সহ টেবিল ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষ সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান মন্ডলের সমর্থকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী রেজানুল হক মন্ডলসহ অন্যান্যরা জানান, কোচাশহর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জাহিদের একটি উঠান বৈঠক হরিগ্রামে আয়োজন করা হয় রাত ৮ টায়। এই বৈঠকের প্রস্তুতি চলাকালে পূর্বমুহুত্বে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবু সুফিয়ান মন্ডলের লোকজন দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে চলে যায়।
কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভব্য স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমার একটি উঠান বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল হরিপুর গ্রামে। বৈঠকের প্রস্তুতি চলাকালে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবু সুফিয়ানের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়ে চেয়ার সহ টেবিল ভাংচুর করে এবং আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানালে থানার এস আই কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার স্থল পরিদর্শণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান মন্ডল বলেন,আমি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি ঘটনাটি কি ঘটেছে তা আমি বলতে পারছিনা। তবে হরিপুর গ্রাম আমার নিজ গ্রাম। আমার নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে বা আমার জনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে এমন ঘটনা কেউ পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে থাকতে পারে।
নির্বাচনে উঠান বৈঠক হামলা ভাংচুরের বিষয়টি মোবাইলে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।