সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত “চৌমুহনী লঙ্গরখানা”র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পলিত হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনের ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে লঙ্গরখানার আদলে খাবার পরিবেশনসহ অনলাইন গেট-টুগেদার ও “সংকটকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা” শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়েবিনারে বক্তারা সংকটকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তায় ‘লঙ্গরখানা’ কে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বক্তারা বলেন- যে কোন দূর্যোগে লঙ্গরখানার কর্মীদের মতো যদি যুব সমাজ এগিয়ে আসে তবে দূযোর্গ প্রশমন অনেকটাই সহজ হবে। চৌমুহনী লঙ্গরখানায় কাজ করা প্রত্যেক কর্মীকে বীর হিসাবে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লঙ্গরখানায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনে ভাসমান ছিন্নমূলদের মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত সুস্বাধু খাবার পরিবেশন করা হয়। লঙ্গরখানার টিম লিডার ফখরুল ইসলাম অর্নবের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস টেলিকম এন্ড ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্পন্সর করেন। এসময় লঙ্গরখানারা উদ্যোক্তা মুনীম ফয়সাল জানান- সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলাকালীন সময়েও আমরা লঙ্গরখানা চালু রাখবো। এতে সমাজের বিত্তবাণ মানুষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
প্রসঙ্গতঃ করোনা সংক্রমণের প্রথমবারে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন দেশজুড়ে খাদ্য সংকট তৈরি হয়। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ পড়ে চরম বিপাকে। নোয়াখালী জেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতেও তীব্রভাবে দেখা যায় খাদ্য সংকট। বিশেষ করে রেল স্টেশনে থাকা ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে হাহাকার শুরু হয়। সংকটময় পরিস্থিতিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনে লঙ্গরখানা নামে ভাসমানদের রান্না করা খাবার পরিবেশন শুরু করেন। পরবর্তীতে এ কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়াত ওমর ফারুক বাদশা। লকডাউন চলাকালীন দীর্ঘ ১০৭ দিন খাবার সরবরাহ করা প্রতিদিন ২২০ জন ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে।