পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ম্যাচটি আমাদের জিততেই হবে’ কোচের ডাকে সাড়া দিলেন বুসকেতস-পিকেরা। দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের পর মিলল কাঙ্ক্ষিত গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যুয়ে বুধবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কুমানের দল।
ম্যাচের বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় মিনিটেই আসে দারুণ সুযোগ। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সের্জিনো দেস্ত। ১৮ মিনিটে হাতছাড়া হয় আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ। স্বদেশি মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি-কিকে ১০ গজ দূর থেকে বাইরে হেড করেন এই মৌসুমে সেভিয়া থেকে ধারে আসা ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং। তিন মিনিট পর দুর্দান্ত এক সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন দিনামোর গোলরক্ষক গিওর্গি বুশচান। ২০ গজ দূর থেকে লুক ডি ইয়ংয়ের শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন তিনি।
৩৫তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে হতাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার দেস্ত। পরের মিনিটেই আরেক ডিফেন্ডারের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আলবার দারুণ ক্রসে কাছ থেকে ভলিতে বল জালে পাঠান পিকে।
লুক ডি ইয়ং ও অস্কার মিনগেসার জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যথাক্রমে আনসু ফাতি ও ফিলিপে কৌতিনিয়োকে মাঠে নামান কুমান। ৫৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ফাতি। বুশচান পজেশন হারালে আলগা বল পেয়ে মেমফিস পাস দেন তরুণ ফরোয়ার্ডকে। তার ওভারহেড কিক লক্ষ্যে থাকেনি।
৭১তম মিনিটে একটি সুযোগ পান কৌতিনিয়ো। ফাতির ক্রসে প্রথম স্পর্শে এই ব্রাজিলিয়ানের শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ৭৫তম মিনিটে মেমফিসের বদলি নামেন ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে শেষ দিকে নেমে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক হওয়া সের্হিও আগুয়েরো। বাকি সময়ে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে দিনামো কিয়েভ। বায়ার্ন মিউনিখ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, ৪ পয়েন্ট নিয়ে বেনফিকা আছে দুইয়ে।