প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ঐকমত্য না থাকলে আমাদের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কষ্টকর হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে ভাল নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সিইসি বলেন, অতিথিরা বলেছেন, বর্তমানে যে পদ্ধতি আছে, তাতে খুব বেশি ভাল করা সম্ভব নয়। এটা একটু কমবেশি কিছু হতে পারে। আমরা যদি দৃঢ় থাকি, আইন দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি, তাহলে অনেকটা উন্নয়ন সম্ভব।
সাবেক সিইসি রউফ সাহেব বলেছেন, প্রার্থী অনুযায়ী নয়, দলভিত্তিক নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচনে দেখা গেল যে অনেক আগে থেকে দলগুলো তাদের টোটাল প্রার্থীর নাম দিয়ে যাবে। সবাই তিনশ আসনে দিল। পার্টি ক, খ, গ, ঘ। যে যত ভোট পেয়েছে, সেভাবে আসন পাবে। এ ধরনের একটা সিস্টেম আছে। তবে এটা আমাদের বিষয় নয়, দলগুলোকেই দেখতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা এ বিষয়ে কিছু মনে করছি না, আমরা শুনেছি।
দলগুলোকে পরামর্শ দিতে সমস্যা কোথায়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করিনি। সবাই বলেছেন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। নির্বাচন যদি ইনক্লুসিভ না হয়,
তিনি জানান, শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করব। যখন মতবিনিমিয় করা হবে, তখন আমরা পরামর্শ চাইব। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আরও ভাল পদ্ধতিগত কী পরিবর্তন করা যেতে পারে সুন্দর-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, সেই পরামর্শ চাইব। ব্যক্তি নয়, পদ্ধতি যদি উন্নত করতে পারি, নির্বাচন অনেক বেশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আকম বাহাউদ্দিনকে কুসিক এলাকা ছাড়ার চিঠি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি, এ বিষযে কাজী
তিনি বলেন, আমরা যখন কাউকে অনুরোধ করি, জোর করে একজন সংসদ সদস্যকে… ওনাকে বলাটাই যথেষ্ট। ওনাকে যদি আমরা বলে থাকি নির্বাচন আচরণ বিধিতে এটা আছে, আপনি যদি দয়া করে একটু সরে থাকেন, নির্বাচন ভাল হয়। সেই চিঠিটা আমরা প্রকাশ্যে দিয়েছি। এটাই একজন সংসদ সদস্যের জন্য যথেষ্ট, এটাকে সম্মান করা। যদি সেটাকে উনি সম্মান না করে থাকেন, আমাদের তেমন করার কিছু থাকে না।
সংলাপে সাবেক প্রধান সিইসি ড. এটিএম শামসুল হুদা, বিচারপতি আব্দুর রউফ ও কেএম নূরুল হুদা, সাবেক ইসি শাহ নেওয়াজ, আবু হাফিজ ও মাহবুব তালুকদার, সাবেক ইসি সচিব ড. সাদিক ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব জেনমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমানসহ, বর্তমান ইসিরা এবং ইসি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।