ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। অনেক অপশক্তি এবার মাঠে নামবে, চ্যালেঞ্জ করবে। ছাত্রলীগকে প্রস্তুত হতে হবে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বালাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এখনও চলমান। তরুণদের সতর্ক হতে হবে, সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে এখানে যারা উল্লসিত, তাদের মতলব কী, উদ্দেশ্য কী তা বুঝতে হবে। শিক্ষাঙ্গন খুলতে যাচ্ছে, অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। সেখানে নানা কৌশল, অপকৌশলে অস্থিরতা তৈরি হবে। অনেক অপশক্তি এবার মাঠে নামবে, চ্যালেঞ্জ করবে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা অস্থীতিশীলতা তৈরি করবে। আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা আমরা দেখেছি, তা হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, তারা ষড়যন্ত্রের স্রোতকে তীব্র করে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই ছাত্রলীগকে প্রস্তুত হতে হবে। ছাত্রলীগকে গৌরবের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সততা ও কর্ম দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের কাছে ছাত্রলীগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিনের প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পঞ্চম জন্মদিবস, ষষ্ঠ হয়েছে কিছুদিন আগে করোনা টেস্টের সময়। সেখানে লেখা হয়েছে ৮ মে, ১৯৪৬। একজনের ছয়টা জন্মদিবস, দুনিয়ার ইতিহাসে এটা বিরল ঘটনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিষ্টাচার কাকে বলে? শোকাতুর মাকে বাড়িতে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, তার সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়া কি শিষ্টাচার? ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াকে দাওয়াত দিয়েছিলেন সংলাপের জন্য। তখন খালেদা জিয়া টেলিফোনে যে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেছেন, সেটা কি শিষ্টাচার?’ এসব বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জবাব জানতে চান তিনি।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সত্য কথায় এখন তাদের গা জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক সত্যের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। চট্টগ্রামে জিয়া নিহত হওয়ার পর থেকে ঢাকায় দাফন পর্যন্ত একটা ছবি তারা দেখাতে পারবে না। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কাউন্টার করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল আবোলতাবোল বকলেন।
তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন। দেখতে দেখতে ১২ বছর চলে গেল, এক যুগ। এ বছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর?