1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের জরুরি সভায় তুমুল হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ প্রসঙ্গে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জরুরি সভায় তুমুল হট্টগোল হয়েছে। সম্মেলনপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী কয়েক নেতার তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির এই জরুরি সভা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই সভা ডাকা হয়।

সভায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, শুরুতে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাগত বক্তব্য দেন। ছাত্রলীগের সভাপতি নিজেই সম্মেলনের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর বক্তব্য শেষে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক উপসম্পাদক মেশকাত হোসেন কথা বলেন। তিনি সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দ্রুত সম্মেলন আয়োজনের কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেনও সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান নতুন সম্মেলনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে একটি টিম গঠনের প্রস্তাব দেন।

সভায় উপস্থিত থাকা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, আরিফুজ্জামান যখন প্রস্তাবটি দিচ্ছিলেন, তখন তাঁকে চুপ করতে বলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাগর হোসেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সহসভাপতি রাকিবুল হাসান ও মিজানুর রহমান। এই তিনজনই লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী। একপর্যায়ে সম্মেলন-প্রত্যাশী নেতা ও লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারীদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারীদের একজন চেয়ার নিয়ে সম্মেলন-প্রত্যাশীদের দিকে তেড়ে যান। ইমরানকে ধাক্কা দেন রাকিবুল। দুপক্ষের মধ্যে কয়েক মিনিট ধরে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামানও একই কথা বলেন।

সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই জরুরি সভায় হট্টগোলের ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংগঠনে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। মার্চের কর্মসূচি শেষ হলে তাঁরা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে একটি সাধারণ সভা ডাকবেন বলে তিনি আশা করছেন। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য সেই সভায় এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জরুরি সভায় হট্টগোলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর ভাষ্য, হট্টগোলটি নতুন সম্মেলনের দাবিকে কেন্দ্র করে হয়নি। লেখক ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলন দাবির কারণেই জরুরি সভায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে, এ কথা সত্য নয়। আর ওই তিনজনই (তাঁর অনুসারী) শুধু বিশৃঙ্খলা করেননি, বিশৃঙ্খলায় সম্মেলন-প্রত্যাশীরাও জড়িত। তাঁরাও সাংগঠনিক আচরণ করেননি।

ছাত্রলীগের নতুন সম্মেলন কবে হবে, জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন চাইবেন, তখনই ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে।’

২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। একই বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় কমিটি। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রেজওয়ানুল ও রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে আল নাহিয়ান খানকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত বছরের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাঁদের ‘ভারমুক্ত’ করে দেওয়া হয়।

আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার পর ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, রেজওয়ানুল-রাব্বানীর অবশিষ্ট মেয়াদে (১০ মাস) ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করবেন নতুন দুই নেতা। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে অনেক আগেই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি