ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দুদিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সেই তারিখ পিছিয়ে দেশের বৃহত্তম এই ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর করার জন্য নির্ধারণ করা হয়। এবার সেই তারিখ দুদিন এগিয়ে এনে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন হবে ছাত্রলীগের।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি চূড়ান্ত করেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হারান শোভন ও রাব্বানী। সেদিনই সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আর প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।