1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

ছেলেসহ সস্ত্রীক বাবুল চিশতীর কারাদন্ড

মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব
  • আপডেট : সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

ফারমার্স ব্যাংকের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া বাবুল চিশতীর স্ত্রী রোজী চিশতি ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে বাবুল চিশতি, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুণ ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে বাবুল চিশতি ও রাশেদুল চিশতিকে দুই বছর ও রোজি চিশতিকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মাসুদুর রহমান খানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারও সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতি ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি। রায় ঘোষণার পর বাবুল চিশতি ও রাশেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অপর আসামিদের জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ৫ অক্টোবর দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। এ অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি