সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানব পাচার এবং স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমনে যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে যশোরে শেষ হলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিবি যশোর রিজিয়ন সদর দপ্তর পরিচালক অপারেশন মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোর রিজিয়ন সদর দপ্তর পরিচালক অপারেশন মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার বলেন, বিজিবি বিএসএফকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার জন্য আহ্বান জানায়। সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএসএফের পক্ষ থেকে নন-লিথ্যাল (অ-প্রাণঘাতী) নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো পক্ষের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করা ও বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক কাজ জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধকল্পে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উভয় পক্ষ কর্তৃক গুরুত্বারোপ করা হয়।
২ সেপ্টেম্বর যশোরে সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদসহ রংপুর ও যশোর রিজিয়নের অধীনস্থ সেক্টর কমান্ডার, বিজিবির স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী আয়্যুষ মানি তিওয়ারি, আইপিএস এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজিগণ ছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের নোডাল অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।