কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধর্মের নামে কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বিঘ্ন ঘটনা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
শনিবার সকালে নটরডেম কলেজে কারিতাসের জাতীয় পর্যায়ে সূবর্ণজয়ন্তী বর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় এক আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও কারিতাস পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন সহকারে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উন্মুক্তকরণ, স্টল উদ্বোধন, অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান, কারিতাস পদক প্রদান, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। এই মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা ও মূলদর্শন হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে আইনের শাসনের একটি সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার। যে সমাজে বা রাষ্ট্রে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। সকল মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করবো। কারিতাস স্বাধীনার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে কাজ শুরু করে। কিন্তু দুঃখের বিষয ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে অপশক্তি, অসাংবিধানিক শক্তি দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। যে ধারায় পাকিস্তান চলত সে ধারায় দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আমরা এখন সংগ্রাম লড়াই করছি, এই আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সামাজিক সকল উন্নয়ন বিশ্বের কাছে সুনাম কুড়িয়েছে। বাংলাদেশ দারিদ্র্যতাকে ৫৬ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে দেশে জাতীয় নির্বাচন। আমি আশা করি বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।
সংসদ সদস্য মো. আশরাফ আলী খান, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট খুলনার বিশপ জেমস্ রমেন বৈরাগী, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আরমা দত্ত, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, মন্সিনিয়র মেরিনকো অ্যান্তলোডিক, নিতাই চন্দ্র দে, তপন কুমার বিশ্বাস, ক্যাফড, জ্যাকুলিন ডি বরগোয়িং ও রাশেদা কে চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।