নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ভূমিকার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা জনগণের করুণ অবস্থাই প্রত্যাশা করেছিলো। আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) নয়ারহাট সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সরকারি বাসভভন থেকে যুক্ত হন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, মানুষ না কি ভয়াবহতম দুঃসময় অতিক্রম করছে। আমি জানতে চাই, করোনা, বন্যা, সুপারসাইক্লোন আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কী ভূমিকা পালন করেছে? আপনারা তো জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যম আর ফেসবুকে কথামালার বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছেন।’
‘মহামারির প্রভাবে গোটা বিশ্ব যখন টালমাটাল তখন জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন, তা বিশ্বব্যাপি প্রশংশিত হচ্ছে। অথচ জনগণের দুঃসময়ে কোনো ভূমিকা না রেখে শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতেই বিএনপি নিজের দায়িত্ব শেষ করেছে। আর সরকার যা করেছে তার অন্ধ সমালোচনা করে চলেছে অবিরাম। আসলে বিএনপি দেশের আরো দুঃসময় এবং জনগণের করুণ অবস্থাই প্রত্যাশা করেছিল।’
দেশের মানুষের ভোগান্তি আর কষ্টই বিএনপি নেতাদের প্রত্যাশা মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বলেছিলো, মানুষ না খেয়ে, চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্বে সে পরিস্থিতি হয়নি বলে বিএনপি নেতাদের মনে খুব কষ্ট। তারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ ও জনগণের বিরোধিতায় নেমেছে। তাইতো জনগণ তাদের কথায় আর সাড়া দিচ্ছে না। ’
‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জেনে, বুঝে ও শুনে মিথ্যাচার করা তাদের স্বভাব। সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাও দেয়নি, সাজাও দেয়নি। মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর সাজা দিয়েছে আদালত বরং শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার প্রতি সদয় হয়ে দুইবার সাজা স্থগিত করেছে।’
‘বিএনপি এমন একটি দল যাদের কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, তা না করে দোষ চাপাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে না কি সরকার অন্যায়ভাবে মামলা দিচ্ছে। একদিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, জনগণের সম্পদ এবং শান্তি নষ্ট করবে, বাসে আগুন দিবে, নিজেরা-নিজেরা মারামারি করবে আর সরকার জনস্বার্থে ব্যবস্থা নিলে বলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালাচ্ছে। জনগণের সম্পদে আগুন দিবে আবার ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না, এমন মামা বাড়ির আবদার করছে তারা।’
‘দলগতভাবে হত্যা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই তারা নিজ দলে অপরাধীদের লালন করে। সুবিধাবাদ জিন্দাবাদে বিশ্বাস করে বলেই দুর্নীতিবাজদের দলে প্রশয় দেয়। গঠনতন্ত্রের থেকে ৭ ধারা বাতিল করে তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্টা করেছে।’
এ সময় ঢাকা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দীন খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু ছাঈদ শেখ, প্রধান প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম।