1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

জমি কিনেও নৌকায় বসবাস, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নৌকায় মানুষ পারাপার করে একখণ্ড জমি কিনেছিলেন মিলন নেছা (৫২)। কিন্তু সে জমিতে ঘর নির্মাণ করতে পারেননি তিনি। নৌকায়ই ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকেন। খবরটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। পরে তার কার্যালয় থেকে মিলন নেছাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিলন নেছার ঘরের কাজের উদ্বোধন করেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর ও জমি প্রদানের কার্যক্রম নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা শরীয়তপুরের নারী খেয়াঘাটের মাঝি মিলন নেছাকে একটি ঘর করে দিচ্ছি।’

এ সময় গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ঢালী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন দুলাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল খায়ের শেখ, গোসাইরহাট পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলী আকবর বলেন, ‘মিলন নেছা নদীতে নৌকা চালিয়ে মানুষ পারাপার করতেন। তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের নজরে আসে।’

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জয়ন্তী নদীতে নৌকায় বসবাস করছেন মিলন নেছা। আট বছর যাবত নদীতে মানুষ পারাপার করছেন। মিলনের যখন বয়স ২২ বছর, তখন তার বাবা মারা যান। তারা তিন বোন ও তিন ভাই। বাবার পথ অনুসরণ করে ওই বয়সেই সংসারের হাল ধরতে মাঝির কাজ শুরু করেন মিলন। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করেন। তাছাড়া দুই পারের কিছু মানুষ বছরে যা ফসল পায় তার একটি অংশ দিয়ে সহযোগিতা করেন মিলনকে।

নৌকায়ই রান্না-খাওয়া, নৌকায়ই বসবাস তার। নৌকা পারাপার করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছেন। জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে ছয় শতক জমিও কিনেছেন তিনি। কিন্তু ঘর তুলতে পারেননি। তার স্বামী রহম আলী সরদার ১৫ বছর আগে তাকে ও দুই ছেলেকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। বড় ছেলে আব্দুল খালেক (২৬) বিয়ে করে আলাদা থাকে। নদীর পাড়ে ছাউনি নৌকায় ছোট ছেলে আব্দুল মালেককে (২২) নিয়ে থাকেন তিনি।

এদিকে ঘর বরাদ্দ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মিলন নেছা বলেন, ‘আগে নৌকায় মানুষ পারাপার করতাম, নৌকায়ই থাকতাম। সাংবাদিকরা আমার কষ্ট দেখে, নিউজ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিছে। সন্তানদের নিয়ে ঘরে থাকবো। আমি খুবই খুশি।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি