গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়ন ধারাই গ্রামে জমি সংক্রান্ত জেরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিপক্ষকে হত্যার চেষ্টা ও বাড়ি ঘরে ভাংচুর বাধা দেয়ায় গৃহকর্ত্রীকে মারডাং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ১।
গত ১৯ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে সহিদুল গংএর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিপক্ষ সাজা মিয়াকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর সহ তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত সাজা মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম পাখি(৫৫) কে তার স্বজনরা উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
সাজা মিয়ার স্ত্রীর উপর সহিদুল গং এর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে।বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে গেলে এলাকাবাসীর রোষানলে পড়তে পারে। এমন সন্দেহ থেকেই স্হানীয়দের রোষানল থেকে বাচঁতে সহিদুল গংরা ১২ টার দিকে সাজানো নাটক তৈরি করে পুলিশ কে খবর দেয় ও হাসপাতালে নারী ফুটবল খেলোয়াড় ও তার ফুফু হাইতন কে ভর্তি করে।নারী ফুটবল খেলোয়াড়ের উপর হামলা বিষয়টি ছড়িয়ে ভাইরাল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করে তারা। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে খোঁজ খবর নেয়।
,সাজা মিয়া বলেন জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। গত কিছুদিন পূর্বে বিষয়টি স্হানীয় ভাবে সমধানের চেষ্টা করে তারা। ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি সমাধানে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আজিজুর রহমান বিষয়টি সমাধান উভয় পক্ষ কে নিয়ে সমঝোতা করার প্রাক কালে সাজা মিয়া গং রা হাজির হলেও হাজির হয়নি সহিদুল গং।পরে সহিদুর গং রা ১০ জন কে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ২২ শতাংশ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। এমতাবস্থায় সহিদুল গং রা মামলা করে সুবিধা পাবে না বিষয়টি বুঝতে পেয়ে অস্তিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফাঁয়দা হাসিলের চেষ্টা হিসাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিপক্ষ আমাকে হত্যার জন্য বাড়িতে হামলা করে।আমাকে বাড়িতে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ভাংচুর করে। এতে আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগম পাখি বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা বেধরক মারডাং করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর ধারালো অস্ত্রে আঘাতে আহত পাখি বেগমের কপালে ও নাকে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন উক্ত ঘটনাকে আরাল করতেই জনতার রোষানল থেকে বাচঁতে নিজেরা দুপুর ১২ টার দিকে আমাদের কে ফাঁসাতে বাঁশের বেড়া টানতে গিয়ে হাতের আঙ্গুল কাঁটা ক্ষত নিয়ে হামলার নাটক তৈরি করে হাসপাতালে নারী ফুটবল খেলোয়াড় সহ দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয় ও পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্হানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এলাকাবাসীরা বলেন, পাশের বাড়িতে সকালে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দ বক্স বাজাতে নিষেধ করে সাজা মিয়া। সে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে হামলার ঘটনা ঘটে।
সকাল ১০ টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ জন লোক সহ সহিদুল গং এর কয়েক জন বাড়িতে প্রবেশ করে তান্ডব চালিয়েছে। এ বিষয়ে আহত হাইতন(৩৫) হাসপাতালের বেডে পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি নারী ফুটবল খেলোয়াড় কে।হাইতন বলেন জমিতে বেড়া লাগানোর সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমার উপর চড়াও হয় ও আমার আঙুল কেটে যায়।পরে হাসপাতালের বাহিরে এসে পাওয়া যায় নারী ফুটবল খেলোয়াড় কে এবিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজী হয়নি তিনি।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।