জলঢাকা ( নীলফামারী ) প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় টেংগনমারী বাজারের দাঙ্গাবাজ, দখলবাজ ও শীর্ষ চাঁদাবাজ ফড়িং গংদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় কাঁচামালের দোকান ভাংচুর করে মালামাল চুরি এবং দোকান দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাছের আলী (৫৫) নামে ভুক্তভোগী এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী। ১৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে খুটামারা ইউনিয়নের কিশামত বটতলা হাজীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বাছের আলী অভিযোগ করে বলেন,উপজেলার টেংগনমারী বাজারের পশ্চিম দিকে জনৈক মশিয়ার রহমানের মুদি দোকান সংলগ্ন স্থানে ২০০৫ সাল থেকে আমি ক্ষুদ্র পরিসরে একটি কাঁচামালের দোকান করে ৫ সদস্যের দরিদ্র সংসার কোনমতে পরিচালনা করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক একটি পাস বইয়ের মাধ্যমে যথাযথ কর প্রদান করেন। কিন্তূ পার্শবর্তী কুঠিপাড়া বাসিন্দা মৃত মজর উদ্দীনের ছেলে ফড়িং (৪৫) তার ছেলে শাওন ও সাব্বির রহমান এবং বড় ভাই হকমুদ্দী মামুদ দূর্দান্ত দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ ও দর্স্যু প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় বাছের আলীর নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদার টাকা না দিলে দোকান করতে দিবে না এবং দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন। এমতাবস্থায় ২ মে রাত ১২টায় ফড়িং তার দুই ছেলে ও বড়ভাই হকমুদ্দী সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের একটি দুষ্কৃর্তিকারী চক্র বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দোকানে অনধিকার প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা প্রদানে অনিহা জানালে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে দোকানের সমস্ত মালামাল বস্তায় করে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ, প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় মহৎ ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুজলে প্রতিপক্ষরা আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে সহ আমার পরিবারবর্গের ক্ষতি সাধন করবে মর্মে হুমকি দিচ্ছে। বাছের আলী অভিযোগ করে বলেন, ফড়িং গং যেমনি দাঙ্গাবাজ তেমনি মামলাবাজ বটে। বর্তমানে ফড়িং গংয়ের হুমকিতে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি। কমবেশি প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মহৎ ব্যক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থনা করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার একমাত্র কর্মষ্ঠ ও উপার্জনস্থল কাঁচামাল ব্যবসায়ীর দোকানটি পুবরায় উদ্ধারের আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম বলেন,সমাধানের চেষ্টা করেছি। ফড়িং গংরা বিচার না মেনে দোকানে চাওয়াটা ঠিক করে নাই।