বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এর জন্য ধনী দেশগুলো বেশি দায়ী হলেও এর প্রধান ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলো। এই প্রেক্ষাপটে অনেক দিন ধরে দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও ধনী দেশগুলো নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছিল। তবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে বিষয়টি স্থান পেয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অন্তত বছরে ২ লাখ কোটি ডলার প্রয়োজন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল-শেখে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে এরই মধ্যে বিশ্বনেতারা উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সম্মেলনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই অর্থ মূলত কার্বন নিঃসরণ কমানো, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে পরিবেশ এবং ভূমি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ব্যয় করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের এই মুহূর্তে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং জলবায়ু অর্থায়নের একটি নতুন রোডম্যাপ প্রয়োজন যা অন্তত ২ লাখ কোটি ডলার ডলার অর্থ সহায়তা দিতে পারবে চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। দেশগুলোর মূল বাজেটের বাইরে এই অর্থ সহায়তা দিতে হবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে।’
এদিকে, রাষ্ট্রগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি বাতিল করা যাবে না উল্লেখ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘জ্বালানির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার হুমকির কারণে জলবায়ু বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি আমরা ত্যাগ করব না, তাই সব দেশকেই তাদের সব প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে হবে।’ এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘যুদ্ধের কারণেই বিশ্বকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করা দরকার।’
বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জন কেরি বলেছেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু অ্যাকশন থেকে সরে আসবে না।