গ্লাসগোয় শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থ হতে পারে এমন কোনো অজুহাত না দিতে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন। জলবায়ু সম্মেলন শুরুর ঠিক আগ দিয়ে রোমের জি-২০ সম্মেলনের শেষ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জি-২০ভুক্ত উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর উদ্দেশ্যেই মূলত এই সতর্কবাণী।
জনসন বলেন, ‘আমরা শুধু সমস্যাটি স্বীকারই করিনি, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকারও হয়েছি। ইতোমধ্যে তাপপ্রবাহ, খরা, দাবানল, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নতুন নতুন রূপ দেখেছে বিশ্ববাসী।’
২০১৫ জলবায়ু সম্মেলনের পর তাপমাত্রা কমাতে প্যারিসে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেটিকে উল্লেখ করে জনসন বলেন, ‘আমরা যদি এখনো পদক্ষেপ না নিই তাহলে ভবিষ্যতে এ প্যারিস চুক্তিকে দেখা হবে এভাবে, যে যেই মুহূর্তে সমস্যা স্পষ্টরূপে ধরা দিয়েছে ঠিক সেই মুহূর্তেই মানবজাতি সমস্যা সমাধানের পথে না এগিয়ে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
এ সময় জনসন বলেন, ‘যদি গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থ হয় তা হলে বিশ্বের যা কিছু সবই ব্যর্থ বলেই চিহ্নিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার ২০৫০ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শুন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। আরও বেশ কিছু দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। তবে সেসবও পর্যাপ্ত নয় বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু সম্মেলন সফল করতে জি-২০ সম্মেলন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত বলে মনে করছেন জনসন। যদিও জি-২০ সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে সামান্যই।
খবর বিবিসি