জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক পুরস্কার জিতেছেন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। সিরীয় শরণার্থী সংকট সমাধানে অবদান রাখায় তাকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মর্যাদাপূর্ণ ‘নানসেন রিফিউজি অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পুরস্কারের জন্য ‘ইউরোপের ক্রাইসিস ম্যানেজার’ খ্যাত মার্কেলের নাম ঘোষণা করে ইউএনএইচসিআর। খবর ইউএন ও আল জাজিরার।
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে ভয়াবহ শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হয়। ইউরোপ সীমান্তে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। সেই সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসে তৎকালে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল নেতৃত্বাধীন জার্মানি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ শরণার্থী আশ্রয় দেয় দেশটি। সে সময়কার অন্যতম বড় সংকট মোকাবিলায় অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাহসী সিদ্ধান্ত, দৃঢ় নেতৃত্ব ও মানবিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দশ লক্ষাধিক শরণার্থীকে বাঁচাতে ও তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল মহান নৈতিক ও রাজনৈতিক সাহস প্রদর্শন করেছেন।’
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেছেন, মার্কেল বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে সাহায্য করেছেন। তিনি আরও বলে, মার্কেল দেখিয়েছেন যে, রাজনীতিবিদেরা অন্যদের কাঁধে দায়িত্ব ঠেলে না দিয়ে নিজেরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে কাজ করলে কী অর্জন করা যায়।
পুরস্কার বাছাই কমিটি ৪ জন আঞ্চলিক বিজয়ীকেও সম্মানিত করেছে। আগামী ১০ অক্টোবর জেনেভাতে একটি অনুষ্ঠানে মার্কেল এবং চার আঞ্চলিক বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। মার্কেলের পুরস্কারের অর্থমূল্য দেড় লাখ ডলার। আঞ্চলিক বিজয়ীরা প্রত্যেকে ৫০ হাজার ডলার করে পাবেন।
উল্লেখ্য, শরণার্থীদের তরে নরওয়ের খ্যাতনামা পর্যটক ফ্রিডজফ নানসেনের অসামান্য অবদান স্মরণীয় করতে রাখতে ১৯৫৪ সালে নানসেন পুরস্কার চালু করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এরপর থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেয়া হয়। গত বছর (২০২১) নানসেন পুরস্কার পেয়েছিলেন আফগান শরণার্থী নারী চিকিৎসক সালিমা রহমান।