জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘জাতীয় কবি’ স্বীকৃতির সরকারি প্রজ্ঞাপন আজও না হওয়ায় দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘সরকারের উচিত অবিলম্বে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা।’
মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবির কথা বললে সবাই কাজী নজরুল ইসলামের নাম উচ্চারণ করে। কিন্তু সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক দলিলপত্রে জাতীয় কবি হিসেবে তার নাম নেই। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জাতীয় আর্কাইভ, নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির কোথাও কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা সংক্রান্ত সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোনো দলিল পাওয়া যায়নি। লোকমুখে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কাগজে-কলমে প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে নন।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে কয়েক যুগ পর নতুন প্রজন্ম জাতীয় কবিকে বিস্মৃত হতে পারে। সে কারণেই সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় কবির স্বীকৃতি হওয়া উচিৎ। নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংসদে আইন পাস করে এই স্বীকৃতি দেয়া উচিত।’
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ‘মত্যুর এতদিন পরেও কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির স্বীকৃতির সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না করার ব্যর্থতা দেশের সকল শাসকগোষ্ঠির। যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা কেউ এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সব বাধা অতিক্রম করে একসময় কাজী নজরুল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। সাম্য ও মানবতার চেতনায় সমৃদ্ধ ছিল তার লেখনী। কবিতায় বিদ্রোহী সুরের জন্য হয়ে ওঠেন ‘বিদ্রোহী কবি’। নজরুলের যে জীবন দর্শন ছিল, তার সৃষ্টি পাঠ করলে আমাদের যা চোখে পড়ে, তা হলো দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে ভালোবাসা। কবি নজরুল শিখিয়ে গেছেন চির উন্নত শির হতে, মানুষকে ভালোবাসতে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহসীন ভুইয়া প্রমুখ।