জাদুঘরকে একটি জাতির ধারক, বাহক বলে মন্তব্য করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রসারিত করার যে জায়গা, সেটি হলো জাদুঘর। এই জাদুঘরের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, নিদর্শন ও প্রদর্শনযোগ্য সবকিছু প্রদর্শন করে থাকি। আমাদের জাতীয় জাদুঘর আধুনিকায়ন করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
আজ বুধবার (১৮মে) সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের উদ্বোধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাদুঘরকে বলা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয়। দেশি-বিদেশি যেকোনো দর্শক জাদুঘরে এসে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন। জাদুকরকে আরও বলা হয় সমাজের দর্পণ। একটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহ-ভান্ডার। জাদুঘর আমাদের শিকড়ের সন্ধান দেয়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জাদুঘরে এসে জানতে পারে তার অতীত ইতিহাস, পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাথা। সম্ভবত এসব কারণেই হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক এক করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিবসটির আয়োজক আইকমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের মনে রাখতে হবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্বের জাদুঘরগুলোর সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘জাতীয় জাদুঘর অধ্যাদেশ-১৯৮৩’ রহিত করে যুগোপযোগী জাদুঘর আইন প্রণয়স করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ পাস হয়েছে যা সম্প্রতি গেজেটভুক্ত হয়েছে।
এবার ‘জাতীয় জাদুঘর দিবস-২০২২’ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দ্য পাওয়ার অব মিউজিয়ামস’ অর্থাৎ জাদুঘরের ক্ষমতা। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিটি জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর আগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন অনিমা রায় ও প্রিয়াংকা গোপ।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।