1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

জামালগঞ্জের দূর্গা মন্দিরের ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হরিলুটের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড়

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড নয়া হালট গ্রামের সার্বজনিন দুর্গা মন্দিরের ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হরিলুটের ঘটনায় জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ স¤পাদক অজিত রায়ের স¤পৃক্ত থাকায় জলপনা কল্পনার শেষ নাই। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ স¤পাদক নারায়ন বৈদ্য বাদী হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ দাখিলের পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় গত২৭, অক্টোবর। ১০৫৬ স্বারকে সাক্ষরীত নোটিশ থেকে জান্যাায় টি আর ২পর্যায় প্রকল্প নং ০৩, ২৩/১০/২০২৪ তারি অজিত কুমার রায় গং গত ২০২৩/২০২৪অর্থ মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নের নামে ধীমান বৈদ্য কে সভাপতি করে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তলন করে আত্মসাতের অভিযোগে আগামী ৩০/১০/২০২৪ বেলা ১১-৩০মিঃ উভয় পক্ষকে অত্র কার্যালয়ে হাজির থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায়, পরবর্তীতে আবার ০৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের ১০৮৭ স্বারকের সাক্ষরীত নোটিশে বেলা ১২ ঘটিকার সময় উভয় পক্ষকে কার্যালয়ে হাজির থাকার নির্দেশদেন। কার্যালয়ে কি সিদ্ধান্ত হল বাদী নারায়ন বৈদ্য কে এব্যাপারে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন শুনানি শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়, মৌখিক ভাবে বলেদেন আপননি ন্যায় বিচারের জন্য উপরের আদালতে যেতে পারেন। বাদীরলিখিত অভিযোগে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নয়াহালট গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ স¤পাদক, নারায়ন বৈদ্য। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন, সাবেক সচিব সদর ইউনিয়ন পরিষদ, বর্তমান ভীমখালী ইউনিয়নেকর্মরত ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ( ইউনিয়ন সচিব) জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা কমিটির সাধারণ স¤পাদক জেলা সচিব সমিতির সভাপতি অজিত রায়েয়ের দিক নির্দেশনায় নয়াহালট সার্বজনিন দুর্গা মন্দিরে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে গোপনে পকেট কমিটি তৈরি করে, নয়া হালট গ্রামের নিরঞ্জন বৈদ্যর ছেলে ধীমান বৈধকে সভাপতি, নয়াহালট গ্রামের রণজিতসাধারণ স¤পাদক, লিটন বৈদ্য সদস্য, পরিতোষ বৈদ্য, মিঠন বৈদ্য, এদেরকে নিয়ে গোপনে মনগড়া কমিটি সৃজন করে, মন্দির পরিচালনা কমিটির কাহাকে ও না জানিয়ে, টাকা উত্তোলন করেন।আমরা মন্দিরকমিটির দায়িত্বশীলনগন সংবাদ পেয়ে সচিব অজিত রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গত ২০/১০/২০২৪ইং তারিখে মন্দিরের সাধারণ স¤পাদক নারায়নের জামালগঞ্জ সদরের দোকান ঘরে, রাত ৮ ঘটিকায় বৈঠক বসেন, আলোচনা শেষে মন্দিরের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করেন। সচিব অজিত রায় বলেন প্রকল্প সভাপতি ধিমান বিদ্য কিছু না সে নাম মাত্র সভাপতি,আমি টাকা তুলেছি আমি টাকা খরচ করেছি, বৈঠকের আলোচনায় যা সিদ্ধান্ত হয়, আমি তা মেনে নিব। আলোচনা-পর্য আলোচনা শেষে সচিব অজিত রায় প্রস্তাব করেন আমি আগামী রবিবার ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়া দিব। পরবর্তী সচিব অজিত রায়ের টাকা দেওয়া আচরন ভংঙ্গি দেখে মন্দির পরিচালনা কমিটির দায়িতশীলগন আলোচনা করে, সিদ্ধান্ত নেন যে প্রকল্পের টাকা অজিত রায়ের নিকট থেকে এভাবে সরা সরি নেওয়া ঠিক হবে না। তাই অনিয়মের বিচার চেয়ে আমাদের আবেদনের মাধ্যমে মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন পেশ করে ন্যায় বিচারচেয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করার সবার মত হয়।। হিন্দু, বৌদ্ধ্য, খৃষ্টানঐক্য পরিষদের জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ইন্টার ন্যাশনাল এ্যাওয়াট প্রাপ্ত ২০২৪, নেপাল,বাংলাদেশ মৈতৃ সংঘ থেকে পূর্নেন্দু ঘোষ চৌধুরী (রুপন)বলেন অজিত রায়ের ব্যাপারে কি বলব সে একজন দূর্নীতি গ্রস্থ লোক। হিন্দু কমিনিটিতে একটার পরএকটা ঘটনার জন্মই দিয়ে আসছে ,জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ স¤পাদক হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে, সব কাজ ডেমাক দেখান, মনগড়া কাজ করেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বড়দের সাথে দাম্বিকতার সহিত বেয়াদবী করেন, গত ১৫ বছর যাবৎ মন্দির গুলাতে পকেট কমিটি তৈরি করে, লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাত করেন, মন্দিরের মূল কমিটিরা অবগত নহেন কোন জায়গায় ধরা পড়লে এমপি মন্ত্রীর দোহাই দিয়ে হজম করার অভ্যাস। এসব কিছু বলে জগা খিচুড়ি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে, বিগত উপজেলার বিভিন্নমন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে অর্থ কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠে, সমাধান হয়নি। নাম প্রকাশে অইচ্ছুক একজন বলেন উনি আরও ধরা খাইবেন উনি বলাবলি করছেন, সাবেক এমপিরা নাকি আরও দশ লক্ষ টাকা বিভিন্ন মন্দরের নামে তুলেছেন এখন সময় ভালনা বলব না ।কমিনিটির অনেকেই বলেন, উনার উপজেলা পূজা কমিটির দায়িত্বে থাকার যোগ্য হারিয়ে ফেলছেন,। কাকের মাংস কাকে খায় না উনি পূজা কমিটিট নেতা হইয়া নন্দির উন্নয়নের টাকা খাইল, আবার বলে আমি আত্ন সাৎ করিনি। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের জামালগঞ্জ শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি শৈলেন দেবনাথ বলেন,সাবেক সংসদ সদস্য রতন মহোদয় জামালগঞ্জের প্রতিটি দুর্গা মন্দিরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দশ হাজার টাকা ঘোষণা করে নগদ প্রদান করেন। আমার জানামতে উনি কোন মন্দিরের নামে টাকাতুলে সমন্বয় করার কথা বলছেন বলে আমি মিটিং এ ছিলাম আমি শুনি নাই। নয়হালট মন্দিরে পকেট কমিটি দিয়ে নিজে দোয়া তুলশি পাতা, উনি নির্দেশনা দিয়ে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পকেট কমিটি করে তুলে নিয়ে লুটপাট করেছেন, এসবের নিন্দা জানাই বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। সাচনা বাজার কেন্দ্রীয় জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি অজয় পাল চৌধুরী বলেন, মন্দিরে কোন মিটিংয়ে অজিত রায় উনার অনিয়মের কোন কথা উৎথাপন করলেই রেগে গিয়ে খারাপ আচরন করেন। গত এক মিটিংয়ে শৈলেন নাথের সাথে বিয়াদবী করায় সবাই তাকে বদমেজাজি হিসাবে চেনে। অজিত রায়কে এবিষয়ে জানতে চাইেেল তিনি মিথ্যা বলে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি