জার্মানিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপন্থি একটি সংগঠনের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইসলামিক সেন্টার অব হামবুর্গ নামের ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ৫৪টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ইসলামিক সেন্টার অব হামবুর্গ (আইজেডএইচ) জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে সমর্থন করে এবং তারা জার্মানির সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে তাদের সন্দেহ। তল্লাশির পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তথ্য সংগ্রহের জন্যই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে।’
২০২০ সালে জার্মানি হিজবুল্লাহকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করে ও জার্মানিতে তাদের কার্ষকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে আইজেডএইচের ওপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। ফেজা বলেন, ‘এখন এই সময়ে অনেকেই মনে করছেন ইহুদিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রের পক্ষে ইহুদিবিদ্বেষী এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্দোলন মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। কড়া মনোভাব নিতে হবে। প্রত্যেকটি যুক্তিগ্রাহ্য সন্দেহকে গুরুত্ব দিতেই হবে।’
এসপিডির নেতা ও হামবুর্গের সিনেটর অ্যান্ডি গ্রোট জানিয়েছেন, ‘এই তল্লাশি হলো আইজেডএইচের ওপর কঠিন আঘাত এবং ওদের সময় এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি আইজেডএইচ হামবুর্গ থেকে মুছে য়ায়, ততই ভালো। আমরা আজ তারই কাছাকাছি এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে রায় দেবে। আইজেডএইচ শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে।’
আইজেডএইচ কী?
জার্মানির গোয়েন্দারা মনে করেন, আইজেডএইচ হলো ইরানপন্থি এমন একটি সংগঠন যাদের মসজিদ ও মুসলিম সংগঠনগুলোর ওপর প্রভূত প্রভাব আছে, এমনকি তারা এদের নিয়ন্ত্রণও করে। আইজেডএইচ হামবুর্গে একটি মসজিদও পরিচালনা করে। এই মসজিদের নাম ব্লু মসজিদ।
১৯৫৩ সালে ইরান থেকে আসা অভিবাসীরা এই সংগঠন তৈরি করেছিলেন। তাদের কাজ ছিল, ইরানের বিপ্লবী মতাদর্শ প্রচার করা।
খবর ডয়চে ভেলে