ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিককে জাহাজ থেকে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বন্দরের কাছে জাহাজটি ছিল। একটি উদ্ধার জাহাজ দিয়ে নাবিকদের তীরে আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নাবিকদের কীভাবে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় সেটি আমাদের প্রথম চিন্তা। এছাড়া যিনি মারা গেছেন তার মৃতদেহ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় মস্কো, ওয়ারস, বুখারেস্ট ও ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, এএফডি, পেট্রোবাংলা, ব্যবসায়িক নেতা, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাহাজ থেকে নাবিকদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হচ্ছে। এ মুহূর্তে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে না। এটি প্রথম পদক্ষেপ। পোল্যান্ডের সীমান্তে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য জায়গায় যাওয়া যায় কি না সেটি আমরা দেখছি। রাশিয়াও বলছে তারা সব ধরনের সহায়তা দেবে।
রাশিয়া কী সহায়তা দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাবিকরা এখন ইউক্রেনের ভেতরে রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দ্রুত ওই এলাকা রাশিয়ানদের দখলে চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ানদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রাখতে হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রাশিয়ানরা জাহাজে হামলা করেছে এমন কোনো শক্ত প্রমাণ কারও কাছেই নেই। রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আছে এবং তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। একটি টার্ম আছে ‘ফগ অব ওয়ার’ অর্থাৎ যুদ্ধের মধ্যে কে কোন দিক থেকে গোলাগুলি করছে সেটি বোঝা যায় না। জাহাজের কী হবে সেটির বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাজটি সরানো যাবে না কারণ সেখানে মাইন পাতা আছে।
মৃত নাবিকের মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধের মধ্যে মৃতদেহ কীভাবে আনা হবে সেটি বলা যাচ্ছে না। সেখানে মর্গ আছে কি না বা অন্য কোনো ব্যবস্থা আছে কি না আমরা জানি না। যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, তখন আমাদের মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে দাফন করার অনুমতি নিতে হবে।