প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে দেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে জমি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বিদায়ী সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বিদায়ি রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (নেদারল্যান্ডস) যদি চান, তবে আমরা আপনাকে (বাংলাদেশে) ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি।’
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে উভয়ই দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আলোচনায় উঠে আসে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়।
বাংলাদেশে কাজ করতে পেরে খুশি জানিয়ে বিদায়ি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে থাকবে।’ লিউয়েন বলেন, ডেল্টা প্ল্যান একটি চমৎকার পরিকল্পনা এবং এটি বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে।
তিনি আরো বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন এবং আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। কারণ এসব খাতে নেদারল্যান্ডের যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর ও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডাচ রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মতো জমি পুনরুদ্ধার করতে চায় উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনাকালে শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে। ‘আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এই কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।