বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনও উপায় ছিল না জার্মানির। শুরুটা সেভাবেই করেছিলেন থমাস মুলাররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সব এলোমেলো হয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জিতলেও শেষ ষোলোয় যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল তাদের। গোল পার্থক্যে গ্রুপের তিন নম্বরে শেষ করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল জার্মানি।
সেইসঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ হল কোস্টারিকারও। জার্মানিকে হারাতে পারলে শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। কারণ, গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছে জাপান। এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না কোস্টারিকা। পর পর তিনটে গোল করে জিতে গেল জার্মানি। ফলে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল কোস্টারিকার।
ম্যাচের ১০ম মিনিটে এক গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলো জার্মান। এই ১ গোল নিয়েই গিয়েছিলো বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার একটু পরই গোল হজম করে বসে জার্মানরা।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলটি করেন ইয়েলৎসিন তাজেদা। ওয়াটসনের হেড ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে শট করে গোল করেন তাজেদা।
৬৭ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার একটি শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় জার্মানি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে আবারও গোল। এবার গোল করেন কোস্টারিকার হুয়ান পাবলো ভার্গাস। বাতাসে ভেসে আসা বলে আলতো করে হেড করেন ভার্গাস। ম্যানুয়েল ন্যুয়ার টেরই পাননি। তার পায়ে লেগে বল চলে যায় জার্মানির জালে।
তিন মিনিট পর আবারও গোল। এবার গোল করে জার্মানি। গোলদাতা বদলি খেলোয়াড় কাই হাভার্টজ। থমাস মুলারের পরিবর্তে মাঠে নামা হাভার্টজই গোল করেন। ফুলক্রুগের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন তিনি।
৮৫তম মিনিটে আবারও গোল। এবারও গোল করেন কাই হাভার্টজ। গুনাব্রিরর অসাধারণ এক শট থেকে বল চলে যান বক্সের বাম প্রান্তে। দৌড়ে এতে বাম পায়ের এক টোকায় বলটি কোস্টারিকার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
৮৯তম মিনিটে আবারও গোল জার্মানির। এবার গোল করেন নিকলাস ফুলক্রুগ। লেরয় সানের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। কিন্তু লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়ালে গোল বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু গোলদাতা ফুলক্রুগ অফসাইড ছিলেন না বলে দাবি করেন। যার ফলে, ভিএআর চেক করা হয়। ভিএআর দেখে গোল দেয়া হয় জার্মানির পক্ষে।