এই মুহূর্তে জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষক লীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টে কেক কাটা হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। এদেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি।
এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নেই, তারপরও দলটির নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে না সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) জিয়া নাই, জিয়ার লাশ নাই! তাহলে এত নাটক করে কেন? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি কখনও তার লাশ দেখেছে? ওখানে একটা বাক্স নিয়ে এসেছিল। সেখানে গিয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি কেন? মারামারি ধস্তাধস্তির অভ্যাস তাদের এখনও যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার মৃত্যু ভয় নেই। কোনো আকাঙ্ক্ষাও নেই। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশ ব্যর্থ হোক, স্বাধীনতার চেতনা মুছে যাক; সেটাই করতে দেব না। জাতির পিতার নাম তারা এখন আর মুছতে পারবে না। যে ইতিহাস তারা মুছতে চেয়েছিল, তারা আর পারবে না। আমার দেখা নয়াচীন বেরিয়েছে। জাতির পিতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্টও সাত খণ্ডে বেরিয়েছে, বাকিটাও বের হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর থেকে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর বিষয়ে সরকার দলীয় মন্ত্রীরা নানান বক্তব্য দেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে তার মৃতদেহ ছিল না। ওই কবরসহ সংসদ ভবনের মূল নকশার বাইরে যত স্থাপনা সব সরিয়ে ফেলার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
পাল্টা জাবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের যদি তারা কোনো উদ্যোগ নেয়, সেটা হবে আত্মঘাতী উদ্যোগ। এর কোনো যুক্তি থাকবে না। এদেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না। সরকারের যে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল, সেটি পারেনি বলেই এ বিতর্ক তারা তুলতে চায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বিএনপিকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।