স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে (যা বে-আইনি এবং অবৈধ) জিয়াউর রহমানকে যখন চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে হত্যাকরা হয়েছিলো তখন সেনাবাহিনী ও সরকার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ছিলো। জিয়ার মৃতদেহ চিহ্নিত করে দাফন করা হয়েছে এমন দালিলিক কোন তথ্য নেই। ঘটনাস্থল থেকে তিন চার জনের মৃত দেহের একটি পোটলায় ক্ষত বিক্ষত দেহ বিশেষ রাক্সগুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে নির্জনস্থলে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়েছিলো, তারপর সেনাবাহিনীতে চরম অসন্তোস ও পাল্টাপালটি বিদ্রোহ ঘটেছিলো । তিনদিন পর রাক্সগুনিয়ার সেই গর্ত থেকে মৃতদেহের পোটলা সমূহ তোলা হয়। সেখান থেকে একটি পোটলা সাদা কাপরে মুড়িয়ে বাক্সবন্দি করে ঢাকায় বিমানযোগে আনা হয়। সরকারী পরিপত্র জারি করা হয় যে, সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল মানুষ যাতে জিয়াউর রহমানের নামাজের জানাযায় শরিক হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ ও প্রতিনিধিদল জিয়াউর রহমানের জানাযার নামাজে শরিক হয়েছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মদ কে জিয়ার মরদেহ দেখা ও জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছিলো। মহিউদ্দিন জানাযায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে জিয়ার কফিন বঙ্খুলে জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। মহিউদ্দিন আহম্মেদ তখন সেনা অফিসার ও বিএনপির নেতাদেরকে বলেন, আগে মৃতদেহ দেখবেন পরে জানাযা হবে। কিš‘, মহিউদ্দিনকে তখন সেনা অফিসার ও বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন মহিউদ্দিন বলেছিলেন মৃতদেহ না দেখে তিনি জানাযায় অংশ নেবেন না। মৃতদেহ না থাকলে গায়েবানা জানাযা হবে। তিনি বিএনপি নেতাদের সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক পর্যায় মহিউদ্দিন আহম্মদ জিউর রহমানের অনুষ্ঠিত নামাজের জানাযায় অংশ না নিয়েই ফেরত আসেন। পরে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
১৯৯১ সালে ধানমন্ডির নিজ বাসায় মহিউদ্দিন আহম্মদ এসব কথা বলেন, প্রতিবেদকের সঙ্গে। আজকে সেই ঘটনার খবরের পুনঃবৃত্তি করছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা ও প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এখন, বিএনপির উচিৎ দালিলিকভাবে প্রমাণ করা জিয়াউর রহমাণের মৃতদেহ ছিলো,অ থবা কেউ দেখেছেন কি না ?