সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, এ বছর জুন মাসের মধ্যেই শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাবেন। একজন ভাতাভোগীও যাতে বাদ না পড়ে সেলক্ষে করোনা মহামারীকালীন চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও ভাতা কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন ও মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী আজ সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্যাশ ট্রান্সফার মডার্নাইজেশন(সিটিএম) প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের সমাজসেবা কার্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) খুরশীদ আলম চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে গেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবামূহকে শতভাগ ডিজিটাল করনের কাজ চলমান রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬৩৪টি সমাজসেবা কার্যালয়ে আধুনিক কম্পিউটার সমাগ্রী প্রদানের মাধ্যমে সেবা প্রদান আরো গতিশীল হবে।
মন্ত্রী সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতাভোগীদের মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণের যে নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোন মূল্যে তা চলতি অর্থবছরের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন ভুয়া বা দ্বৈত ভাতাভোগী যাতে ভাতা না পায় সে লক্ষে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কর্মসূচিকে ডিজিটালাইজেশনের লক্ষে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ক্যাশ ট্রান্সফার মডার্নাইজেশন(সিটিএম) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।