দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী জুন মাসে অর্থবছরের শেষে দেশে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামবে।
অর্থমন্ত্রী আজ সোমবার চলতি অর্থবছরের বাজেটের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে সংসদে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। ওই প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অর্থবছরের প্রথমার্ধে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬.০৫% এ দাঁড়িয়েছে, যা গত জুলাই মাসে ছিল ৫.৩৬% ও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫.৫৫%। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে, তার আগে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়তে পারে।
তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর আদায় বাড়ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। অর্থবছরের শেষ দিকে রাজস্ব আহরণ আরও বাড়বে।
করোনা মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করে জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির গতিপ্রকৃতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনায় বাংলাদেশ অনন্য সাফল্য প্রদর্শন করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কম হওয়ায় সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন চলকের শক্তিশালী অবস্থান সরকারের সাফল্যের প্রমাণ দিচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তাছাড়া, চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে উন্নতি হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম স্তম্ভ। তখন থেকে ১৩ বছরে বর্তমান সরকার অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের মাইলফলক স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
পাশাপাশি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।