পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী পাহাড়িদের আদি পেশা জুমচাষ। আদিকাল থেকে জুমচাষের মাধ্যমেই সারা বছরের জীবিকা সংগ্রহ করে থাকেন তারা। বান্দরবানের মোট সাত উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো সবাই কম-বশি জুম চাষ করেন। তাই জুমের সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে পাহাড়ি নারীরা।
জুমিয়া পরিবারগুলোর ফসল ভালো হলে সারা বছরের খাদ্যের জোগান নিশ্চিত হয়। এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি জুমিয়া পরিবারগুলো। ধানের পাশাপাশি ওই জমিতে ভুট্টা, মারফা, মরিচসহ নানা ফসলের বীজ একসঙ্গে রোপণ করে। জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো প্রায় সকলেই জুমচাষ করে থাকে। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া। প্রায় ৩-৪ মাস পরিচর্যার পর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে পাহাড়ে ধান কাটা শুরু করে জুমিয়ারা, আর শেষ হয় অক্টোবর মাসে। তাই জুমের ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে পরিবারগুলো। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকার কারণে ফলন ভালো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এম এম শাহ নেওয়াজ বলেন, পাহাড়ি বেশির ভাগ মানুষ জুমচাষে নির্ভরশীল। গত বছর বান্দরবান জেলায় ৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়। আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৯৩৩ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো হলেও ধানের আবাদ ও উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে।