রাজধানীর কদমতলীর জুরাইনে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়ে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা হলেন মো. আতাহার (৩৫), এবং তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০)। তাদের মেয়ে আফসানা (৫)। এছাড়া মুক্তার বাবা মো. আলতাফ সিকদার (৭২) ও তার মা মোছা. মর্জিনা বেগম (৫০) দগ্ধ হন।
গতকাল রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত ২টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. মাহবুব জানান, জুরাইন সর্দার বাজার সলিমুল্লাহ রোডে মান্নান মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকে পরিবারটি। ওই বাসায় তিতাস লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। তার ভগ্নিপতি হকারি করেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আতাহারের ৫০ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ, তাদের মেয়ে আফসানার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর মর্জিনার শরীরে ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ও আলতাবের শরীরে দুই শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, দগ্ধ পাঁচ জনের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক। বাকি দু’জন শংকামুক্ত।