তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৭ জুলাই) ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিনে এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
তবে কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সব মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি।
তারই সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। ই-গভার্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ৮ হাজার ২৮০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩০০-এর অধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রত্যন্ত গ্রামে বসেই অনলাইনে উপার্জন করছে তরুণ সমাজ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি, তরুণ সমাজের আইকন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য-দক্ষ-দেশপ্রেমিক-কর্মবীর জয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন এবং পরম করুণাময়ের নিকট তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।