রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। বুধবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর এলাকার স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহধর্মিণী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী, জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, কনিষ্ঠ কন্যা মাইশা সামিহা জামান শ্রেয়া।
সমৃদ্ধ রাজশাহী গড়ার লক্ষ্যে আবারও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান খায়রুজ্জামান লিটন। তবে বিএনপিসহ অন্য সব দল এই নির্বাচনে এলে আরও ভালো লাগতো। তারা নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত এমন পরিবেশই থাকবে। রাজশাহী শান্তির নগরী এখানে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলেন লিটন।
ভোটার উপস্থিতি কম প্রশ্নের উত্তরে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সকালের দিকে এই কেন্দ্রগুলোতে একটু ভিড় কম হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়বে। পরিবেশ ভালো আছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোট দেবেন। সব মিলিয়ে রাজশাহীতে ৬০ শতাংশের ওপরে ভোট কাস্টিং হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কমিশনের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)। যদিও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এরই মধ্যে নানান অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ইভিএম এর তালিকায় প্রতীকসহ এই প্রার্থীর নাম থাকবে।