পরপর দুই ম্যাচ হেরে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। রোববার রাতের ম্যাচে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্সের শীর্ষ ক্লাবটি। তারা বোর্দোকে হারিয়েছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে।
অথচ নিস ও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর জয়ে ফেরা এই ম্যাচে কি না দুয়ো শুনতে হয়েছে দলের দুই বড় তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রকে। ম্যাচের শুরু থেকে যখনই বল গিয়েছে মেসি বা নেইমারের পায়ে, পুরো গ্যালারি একসঙ্গে দুয়ো দিয়েছে তাদের।
মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে রিয়ালের কাছে ১-৩ গোলে হারের কারণেই সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন মেসি-নেইমার। ইউরোপসেরার আসরে ভক্তদের প্রত্যাশা মেটাতে না পারার ক্ষোভ থেকেই মূলত দুয়ো শুনতে হয়েছে তাদের।
নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে খুব একটা সহজে জিততে পারেনি পিএসজি। স্কোরলাইন ৩-০ দেখালেও, মূলত গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দৃঢ়তায় কোনো গোল হজম করতে হয়নি মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের। জিয়ানলুইজি ডনারুম্মার জায়গা এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন নাভাস।
প্রথমার্ধে কেবল একবারই আনন্দের উপলক্ষ পেয়েছে পিএসজি। ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাইরে উইজনাল্ডুমকে পাস দেন মেসি। এই ডাচ মিডফিল্ডারের কাছ থেকে বল পেয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন কাইলিয়ান এমবাপে।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫২ মিনিটের সময় স্কোরশিটে নাম তোলেন নেইমার। এবার মেসির এগিয়ে দেওয়া থ্রু বল ডি-বক্সের ভেতরে পান আশরাফ হাকিমি। পরে এই ডিফেন্ডারের পাস ধরে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার।
দ্বিতীয় গোলের মিনিট চারেক পর পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। ভিএআর দেখে বাতিল করা হয় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। তবে ৬১ মিনিটে গিয়ে ঠিকই গোল পেয়ে যায় তারা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন লেয়ান্দ্র পারেদেস। একদম শেষ দিকে পোস্টে লেগে ফিরে আসে মেসির শট। ফলে বাড়েনি গোল।
এই জয়ের পর ২৮ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে নিরাপদেই শীর্ষে বসে আছে পিএসজি। দুইয়ে থাকা মার্শেইর ঝুলিতে রয়েছে ২৮ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট। সবার নিচে থাকা বোর্দো ২৮ ম্যাচ থেকে পেয়েছে ২২ পয়েন্ট।