টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের দেওয়া ১১৯ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই পেরিয়েছে অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার জয় ৫ উইকেটে।
১১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেটে ৩৮ রান তোলার পর স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে সেই চাপ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে অজি শিবির। ৪ রানে দলপতি অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারিয়ে ২০ রানে অজিরা হারায় ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট।
ফিঞ্চের উইকেট তুলে নেন এনরিচ নর্কিয়া। শূন্য রানে ফিরে যান ফিঞ্চ। দীর্ঘ দিন ধরে ফর্মহীন ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা। ফেরার আগে ওয়ার্নার করেন ১৪ রান। এরপর মিশেল মার্শ শিকারে পরিণত হন কেশভ মহারাজের। মার্শ তুলেন ১১।
তিন উইকেট হারানোর চাপ দেন স্মিথ-ম্যাক্সওয়েল মিলে। স্মিথ ৩৪ বলে ৩৫ রানে ও ম্যাক্সওয়েল ২১ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় মার্কাস স্টোইনিস ও ম্যাথু ওয়েডের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। স্টোইনিস ১৬ বলে ২৪ ও ওয়েড ১০ বলে ১৫ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি উইকেট নেন এনরিচ নর্কিয়া। একটি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি।
এর আগে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৮ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। শুরুটা ভাল করেছিল প্রোটিয়া শিবির। প্রথম ওভারেই দারুণ সূচনা করেন অধিনায়ক বাভুমা। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে আনার পরই দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীতে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকলে আর বড় সংগ্রহের দিকে ধাবিত হতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা।
মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো প্রোটিয়াদের চাপ আরও বাড়ে কুইন্টন ডি ককের অদ্ভুত বোল্ড আউটে। এরপর একে একে ফন ডার ডুসেন, ক্লাসেনদের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে প্রোটিয়া শিবির। শেষের দিকে মারক্রামের ৩৬ বলে ৪০ রানের ইনিংসের সুবাদে শত রান পাড় করে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাবাদা অপরাজিত ছিল ১৯ রানে এবং মিলারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২ উইকেট করে নেন হ্যাজেলউড, স্টার্ক এবং জাম্পা। ম্যাক্সওয়েল এবং কামিন্স নেন একটি করে উইকেট।