মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে গৃহহারা মানুষ আর্থিক সংকটে ঘুরে দ্বারাতে পারছেন না। পারছেন না বিধ্বস্ত ঘরগুলো পুনর্নির্মাণ করে মাথা গোজার ঠাই করে তুলতে।
ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন গৃহহীন কয়েকশত পরিবার। তারা টাকা পয়সার অভাবে নতুন করে বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ী নির্মাণ করতে না পেরে অনেকে খোলা আকাশের নিচে, আবার অনেকেই অন্যের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাজারেরও বেশি কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে এতে হতদরিদ্র শতাধিক আদিবাসী পরিবারসহ সম্পূর্ণ ও আংশিক ১৫ শ পরিবার গৃহহীন হয়ে পরে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অর্থশালী গৃহহীনরা কোনভাবে ঘুরে দ্বারাতে সক্ষম হলেও হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারের লোকজন এখনো ঘুরে দ্বারাতে পারেনি।
উপজেলার বারোয়ামারি গ্রামের নির্দেশ সাংমা, বলেন, তার একটি থাকার ঘর পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়। বনিন মারাকরের ৪টি ঘর হয়েছে। , মরিয়মনগর গ্রামের বিধবা নারি বনিতা চিরান এর ২টি ঘর প্রদিন চিরানের ২ টি ঘর মরিয়ম নগর গ্রামের বনিতা রাকসামের একটি ঘর, মাহিমা সাংমার একটি ঘর ও দুধনই গ্রামের আকবর আলীর ৪টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
তিনি একজন শ্রমিক টাকা পয়সার অভাবে ঘরগুলো সংস্কার করতে পারেননি। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। দুধনই গ্রামের সুলতান মিয়ার একটি ঘর। রেনু মিয়ার ৩ টি ঘর, ছালামের ১টি ঘর, বিধবা নারি ফতে বেগমের ১টি ঘর,ছানোয়ারের ২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
হতদরিদ্র এসব গৃহহীন পরিবারের লোকজন তাদের ঘর-বাড়ী পুনর্নির্মাণের জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশও দেশের বাইরের সুহৃদয় বান মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তসহ ১৫০০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
তিনি বলেন তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া গেলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে গেলে পুনর্বাসানোর জন্য