জেলা প্রতিনিধি শেরপুরঃ ৮৮ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও সহায় সম্বলহীন বাউল আব্দুর রহমানের ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড! সহায় সম্বলহীন আব্দুর রহমান জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের মুনাকুষা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই আব্দর রহমানের। থাকার ঘরটি ও বসবাসের অনুপযোগী। টাকা পয়সার অভাবে ঘরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ছোট বেলা থেকে তিনি গ্রামে গঞ্জে বাউল গান করে বেড়াতেন। ১২একর জমি থাকলেও বাউল গানের পিছনে ছুটে ছুটে তা খুইয়ে এখন পথে বসেছেন। ৩ ছেলে বিয়ে করে আলাদা। সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয় তাদের। তাই বাবা-মার খোঁজ খবর নেয় না তারা।
৮৮ বছর বয়সে সরাজটি তার জীবন, জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে, পাড়া মহল্লায় সরাজ বাজিয়ে বাউল গান করে মানুষ যা দেয় তাই দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তার পরিবারের সদস্যদের দিন। একদিন গান গাইতে না গেলে সেদিন অনাহারে থাকতে হয় তাকে। সরকারি সাহায্য সহায়তা জুঁটেনি তার ভাগ্যে। আব্দুর রহমান বলেন, একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড চেয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যানের দ্বারে দ্বারে বহুবার আবেদন নিবেদন করলেও তার ভাগ্যে জুটেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড।
স্হানীয় এক সাংবাদিক তার দুঃখ দুর্দশার কথা পত্রিকায় তুলে ধরলে গত কয়েক মাস আগে উপজেলা প্রশাসন তাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড দেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তার বয়স্ক ভাতার কার্ডটি বাতিল করে দেন। বর্তমানে আব্দুর রহমান মানবেতর জীবন যাপনের পাশাপাশি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আব্দুর রহমান। গৌরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, পরবর্তী কার্ডের বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে। উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। হতদরিদ্র ও অসহায় বাউল আব্দুর রহমান প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের কাছে সহযোগীতা কামনা করেন।