ঝিনাইদহে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেসময় শহরের পায়রা চত্বর এলাকা থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে ব্যানার কেড়ে নেয়। ভাঙচুর করে মাইক। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ছাত্রলীগ সেখান থেকে মিছিল সহকারে ফিরে যায়। হামলায় আন্দোলনকারী অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর আবু হুরায়রা বলেন, ‘কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা নিরীহ শিক্ষার্থী। আমাদের ওপর এমন বর্বর হামলা করেছে ওরা। আমাদের ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
ঘটনার বিস্তারিত জানতে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দীন বলেন, ‘সকালে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জড়ো হন। সেময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার পর একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।’