গ্রীষ্মকালেও সদ্য ফোটা শিম ফুলের সাথে ছড়ায় ছড়ায় গাছে ঝুলছে শীতের সবজি শিম। এমন দৃশ্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিতপুর গ্রামের মাঠে। বর্তমানে বাজারে যা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা দরে। এ হিসাবে এবার প্রতি বিঘায় খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্নে খুশি সুবিতপুর গ্রামের শিম চাষিরা।
সুবিতপুর গ্রামের সবজির মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদে পুড়ে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছে কৃষক। কারণ, এবারের অসময়ের শিম চাষে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষকদের ভাষ্য, এই শিমগাছ বৃষ্টি সহিষ্ণু।
গ্রামের শিম চাষী বাপ্পারাজ জানান, শিম সাধারণত শীতকালীন সবজি। এর আগে বর্ষাকালে চাষ হতো না। কিন্তু ভিন্ন জাতের এ শিম এখন বারো মাস চাষ করা যায়। গ্রামের কৃষকরা প্রায় অর্ধশত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের শিম চাষ করছেন।
সুবিতপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, রূপভান জাতের এই শিম চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশক ও মাঁচার টাল দেয়া বাবদ প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে এ শিমের বীজ বপন করতে হয়। পরবর্তীতে চারা গজানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় ফুল আসে। এরপর দেড় মাস পর থেকেই শিম তোলা শুরু হয়। প্রতি তিন থেকে চার দিন পরপর শিম তুলে বাজারে বিক্রি করা হয়। একটানা ছয় মাস পর্যন্ত ক্ষেত থেকে শিম উঠানো যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোহায়মেন আক্তার জানান, এ বছর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা জমিতে শিমের চাষ করেছেন। অসময়ের শিম হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন।