জিম্বাবুয়ে থেকে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ফাস্ট বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ আর কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসন নিজ নিজ দেশে ফেরত গেলেও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স যাননি নিজের জন্মভূমিতে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সোজা ঢাকা চলে আসেন সিডন্স। সাকিব-মুশফিক-বিজয়রা যে গত কদিন ধরে নিজ নিজ উদ্যোগে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছেন, সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে তাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতাও করছেন সিডন্স।
আজ (বৃহস্পতিবার) জন্মাষ্টমীর ছুটির দিনে জেমি সিডন্স আর অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে কথা বলতেই শেরে বাংলায় গিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
সাকিব ও সিডন্সের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছে? দুপুরে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে তা জানাতে গিয়ে নাজমুল হাসান পাপন একটি নতুন তথ্য দিলেন। তিনি জানালেন, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স টিম বাংলাদেশের পাওয়ার হিটিং কোচের দায়িত্ব পালন করতেও আগ্রহী।
পাপন জানান, ‘এশিয়া কাপে টিম যাচ্ছে এবং যাওয়ার আগে সিডন্স অলরেডি চলে আসছে। সে আমার বাসায় আসছিলো পরশুদিন। ওর সাথেও বসেছিলাম। তখন শুনলাম, এখানে প্র্যাকটিস হচ্ছে, অনেকেই করছে। বিশেষ করে কী করছে না করছে, পাওয়ার হিটিংয়ের ওপর কী কাজ করছে। এসব নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো।’
বিসিবি সভাপতি আরও জানান, পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য তারা (বিসিবি) স্পেশালিস্ট কাউকে বাইরে থেকে নিয়ে আসার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকেই হয়তো পাওয়ার হিটিং কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে।
পাপনের কথা ,‘আমাদের প্রধান সমস্যা যেটা আমরা দেখি টি-টোয়েন্টিতে, আমাদের কিন্তু প্লেয়ার ঠিক আছে। প্লেয়ার যে নাই তা তো না। প্লেয়ার আছে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মাইন্ডসেটটা একটু ঠিক করতে হবে। টোটাল চেঞ্জ ইন মাইন্ড সেট। এটাই আমরা চেঞ্জ করছি। টি-টোয়েন্টির অ্যাপ্রোচটা টোটালি ডিফারেন্ট করতে হবে যদি আমরা জিততে চাই, ভালো করতে চাই।’
পাপন মনে করেন, সেটা করতে হলে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, ‘১৩০-১৪০ করে হয়তো একটা ম্যাচ জিতে যাবো একদিন। কিন্তু নিয়মিত জিততে হলে আমাদের ১৮০-১৯০ থেকে ২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রেখেই খেলতে হবে। এখন আমাদের যে মাইন্ডসেট বা প্ল্যান চলছে, ওইটা করার মতো কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না। সেটা খেলার মধ্যেও আমরা দেখতে পাই না। সেজন্য এটা নিয়ে কী করা যায়, আলোচনা করছিলাম। তখন জেমি এসে বললো, ও নাকি এখানে (পাওয়ার হিটিং কোচিংয়ে) খুব ইন্টারেস্টেড (আগ্রহী)।’