আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের সন্ধানে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দল। উদ্ধার দলে একের পর এক জাহাজ ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম যোগ হচ্ছে।
সর্বশেষ এ দলে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ম্যাগেলানের একটি অত্যাধুনিক দূরনিয়ন্ত্রিত জলযান (আরওভি)।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, দূর নিয়ন্ত্রিত একটি জলযান সাগরের তলদেশে পৌঁছেছে। কানাডার মালিকানাধীন এই জলযান নিখোঁজ টাইটান সাবমারসিবল খুঁজে পেতে তল্লাশি চালাচ্ছে। অন্যদিকে ফ্রান্সের জাহাজ লা-আটলান্তে তাদের দূর নিয়ন্ত্রিত যান জলের ভেতরে অনুসন্ধানে নামাতে যাচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান যুক্তরাজ্যের জলযানটি জার্সি থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এই জলযানে জুলিয়েট নামে একটি সাবমেরিন সম্প্রতি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণকালে সমগ্র জাহাজের একটি ত্রিমাত্রিক দৃশ্যও ধারণ করে তারা।
তবে এটির অভিযানস্থলে পৌঁছাতে ৪৮ ঘণ্টা লাগবে। যদিও নিখোঁজ সাবমেরিনে আর মাত্র ছয় ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। এ জলযান দিয়ে সম্পূর্ণ এলাকায় তল্লাশি চালানো যাবে। এ ছাড়া এর কর্মীদের গভীর সমুদ্র এলাকা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞানও রয়েছে।
গত রবিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। বর্তমানে সেখানে মাত্র ছয় ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।