1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

টাইব্রেকার রোমাঞ্চে চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

পরিচিত মাঠ। আগেই সেই দুই দলই ফাইনালিস্ট। শনিবার যেন হয়ে গেল ঠিক যেন মাস তিনেক আগের লিগ কাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। লিভারপুল দাপট দেখায়। তবে তাতে ভীত হয়ে যায়নি চেলসি। পরতে পরতে উত্তেজনায় ঠাসা লড়াই নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুচাপের রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ে জিতে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়নস হওয়ার উল্লাসে মাতে লিভারপুল।

শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ছিল গোলশুন্য ড্র। পরে পেনাল্টি শুট আউটে ৬-৫ গোলে জেতে লিভারপুল। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটিতে তারা এই নিয়ে আটবার চ্যাম্পিয়ন হলো।

ঘরের মাঠে শনিবার লিভারপুল শুরু থেকেই দারুণ খেলে। এ সুবাদে তারা এগিয়ে যেতে পারতো ৮ম মিনিটেই।

প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন দিয়াস। পা দিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মঁদি, তারপরও বল যাচ্ছিল লক্ষ্যের দিকে। শেষ মুহূর্তে বল বিপদমুক্ত করেন মিডফিল্ডার নাবি কেইতা। এদিকে ১৫তমি মিনিটের সময় আক্রমণ সানাই চেলসি। তবে ডি-বক্সে রোমেলু লুকাকুর হ্যান্ডবলে তা ভেস্তে যায়।

এদিকে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে চেলসি। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের দারুণ পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে নিচু শট নেন মার্কোস আলোনসো, এগিয়ে গিয়ে ঠেকিয়ে দেন আলিসন।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই চেলসির আক্রমণ। প্রথম দুই মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগও তৈরি করে তারা। পুলিসিকের জোরাল শট আলিসন ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর বাঁ দিক থেকে আলোনসোর বাঁকানো ফ্রি কিকে বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারে লাগে।

শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ খেলেন দিয়াস। বিরতির এ তারকা অল্পের জন্য পাননি জালের দেখা।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে আধিপত্য করে চেলসি। দুটি সুযোগও তৈরি করে তারা, যদিও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি কেউ। আর পরের ১৫ মিনিটে অপরিকল্পিত আক্রমণে কেবল সময় অতিবাহিত হয়েছে। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে সেখানে আবারও জমে ওঠে লড়াই। চেলসির দ্বিতীয় শট নিতে এসে পোস্টে মেরে বসেন অধিনায়ক সেসার আসপিলিকুয়েতা। লিভারপুলের প্রথম চার শটের সবগুলোই জালের দেখা পাওয়ায় নির্ধারিত পাঁচ শটেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারত; কিন্তু তাদের শেষ শট নিতে আসা মানের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে লড়াইয়ে নতুন করে প্রাণ ফেরান চেলসি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি।

তবে তার গড়ে দেওয়া ভিতে ইমারত গড়তে পারেনি চেলসি। সাডেন ডেথের দ্বিতীয় শট নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন ম্যাসন মাউন্ট, তার শট ঠেকিয়ে দেন আলিসন। আর কস্তাস সিমিকাসের পরের শটটি জাল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে লিভারপুল।

১০ বছরের পুরনো ক্ষতে প্রলেপ দিল ‘অল রেড’ নামে পরিচিত দলটি। এর আগে ২০১২ সালে সবশেষ প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল চেলসি; সেই লড়াইয়ে জিতেছিল ‘ব্লুজ’ নামের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি