বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি ও তার দোসররা টাকার বিনিময়ে নানা ধরনের ফ্রন্ট করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা খুঁজছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকার নিজের বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। সেজন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এদেশে আর ক্ষমতার পরিবর্তন পেছনের দরজা দিয়ে হবে না, জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই তা ফয়সালা হবে। এদেশে আর ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, আমরা এখন অনেক সতর্ক। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের হাতে এখনও সেই রক্তের দাগ। বিএনপি লুণ্ঠনের মাধ্যমে হাওয়া ভবন তৈরি করেছিল। দুর্নীতিতে তারা ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
কোটি কোটি কালো টাকার মালিক যারা হয়েছিল, বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছিল, সেই অপশক্তি বিএনপি নির্বাচনে জনগণের ভোট পাবে না। জনগণ আর বিএনপির সেই দুঃশাসনের কাছে এ দেশকে ফিরিয়ে দিতে চায় না। কোনোদিন ফিরিয়েও দেবে না বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গুজবে কান দেবেন না। দুঃসময় কেটে যাবে। সুদিন ফিরে আসবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতেও জনগণকে অনুরোধ জানান তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঘাতকের বুলেটের চেয়েও আজকে বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। যতদিন বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদিত হবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান যে জড়িত এতে কোনো সন্দেহ নাই। তিনিই পরে খুনীদের বিদেশ পাঠান, পুনর্বাসন করেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার প্রমুখ।