ঢাকার বাজারে এক হালি লেবু বর্তমানে ৬০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে প্রতিটি লেবুর দাম পড়ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা। অথচ লেবু উৎপাদনকারী জেলা টাঙ্গাইলে কৃষক পর্যায়ে সেই লেবুর দাম ৪ থেকে পৌনে ৫ টাকা। রাজধানীতে ঢুকতেই লেবুর দাম অস্বাভাবিকভাবে কেন বাড়ছে, তার যুক্তিসংগত কোনো কারণ বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে গতকাল বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে আছে কয়েক জাতের লেবু। তবে পরিমাণে খুব কম। কয়েকটি দোকান ঘুরলেই কেবল মিলছে লেবুর সন্ধান। বাজারে কাগজিলেবু প্রতি হালি ৬০ টাকা ও গোড়া লেবু ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সেই লেবু অপরিপক্ব, রসও নেই, এমন অজুহাতে একটু বড় আকারের রসাল এলাচি লেবুর দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতি হালি ৮০ টাকা। অন্যদিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনি বাজার, শান্তিনগর ও ধূপখোলা বাজারে এক হালি এলাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের লেবুবিক্রেতা আবদুল হালিম বলেন, লেবুর দাম শুধু আমরা বেশি নিচ্ছি না। কৃষক পর্যায়েও লেবুর দাম বেশি। করোনার মধ্যে ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাতে লেবুর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আবদুল হালিম আরও বলেন, বছরের এই সময়ে, অর্থাৎ মাঘের শেষে লেবুর উৎপাদন কমে যায়। নতুন লেবু বাজারে আসার আগপর্যন্ত তাই দাম একটু বেশি থাকে।
এদিকে লেবু উৎপাদনকারী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার লেবুচাষি মোহাম্মদ জিন্নাহ মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে আড়াই হাজার লেবুর এক বস্তার দাম পাওয়া যায় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এখন প্রতি বস্তার দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, অর্থাৎ একেকটি লেবুর দাম চার থেকে পৌনে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মধুপুরের লেবু ব্যবসায়ী সম্পদ নকরেক মুঠোফোনে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কৃষকেরা বস্তা হিসেবে লেবু বিক্রি করেন, প্রতি বস্তায় আড়াই হাজার লেবু থাকে। বর্তমানে মধুপুরের বাজারে কলম্বো লেবু বা গোড়া লেবুর এক বস্তার দাম ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। কাগজিলেবুর দাম সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আর এলাচি লেবুর এক বস্তার দাম ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা।