জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ১৯৫৮ সালে গুটিবসন্তের টিকা উৎপাদন শুরু হয়। একই সময়ে টাইফয়েড ও কলেরার টিকা উৎপাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত টিকা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হতো। ১৯৭৮ সালে গুটিবসন্তের এবং ১৯৯৭ সালে টাইফয়েড ও কলেরার টিকা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জলাতঙ্ক রোগের টিকা উৎপাদন শুরু করে। তা অব্যাহত ছিল ২০১১ সাল পর্যন্ত।
১৯৭৮ সালে ধনুষ্টঙ্কার ও ডিফথেরিয়া–ধনুষ্টঙ্কারের টিকা তৈরি শুরু হয়। এই টিকা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) ব্যবহার করা হতো। ডিফথেরিয়া–ধনুষ্টঙ্কারের টিকার উৎপাদন ১৯৮৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ধনুষ্টঙ্কারের টিকা উৎপাদন বন্ধ হয় ২০০৪ সালে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক চিঠিতে বলেছেন, ভৌত অবকাঠামো টিকা তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতিতে নেই। কিছু অবকাঠামো অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে টিকা তৈরির যন্ত্রপাতি অব্যহৃত থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু যন্ত্রপাতি আধুনিক প্রযুক্তিতে টিকা তৈরির উপযুক্ত নয়।
জনবল প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়েছে, জনবল বেশির ভাগ জ্যেষ্ঠ পদমর্যাদার। কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার জনবল বেশির ভাগ অবসরে গেছেন। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পদের সংখ্যা ৮৬৬। এর মধ্যে ৩০০ পদ শূন্য।
১৯৬৫ সালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নীতিনির্ধারকদের কাজ হবে এই মূল্যায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করা।
সূত্রঃ প্রথম আলো