ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সময়মতো কোভিড-১৯–এর টিকা না পেলে ‘অন্য’ পরিকল্পনা নেওয়ার কথা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা জানালেও অন্য পরিকল্পনাটি কী, তা বলেননি।
অনুষ্ঠানে টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসের টিকা আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কেনা টিকার বিষয়ে বলেছেন। কোভ্যাক্সের টিকা পেতে মে-জুন মাস সময় লাগবে। টিকা পেতে দেরি হলে আমাদের অন্য পরিকল্পনা করতে হবে।’
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি সরকার করলেও সম্প্রতি খবর আসে যে দেশের নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত টিকা রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ করে তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
প্রথম চালানে ৫০ লাখ টিকা এলেও দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকছে।
এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে এক কোটি ২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা। আর এ পর্যন্ত ৫২ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এই ৫২ লাখের সবাই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে, যা এপ্রিলের শুরুতে দেওয়া শুরু হবে।