টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারকে লাঞ্ছনা ও অশালীন আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ গুরুত্ব সহকারে জোরালো তদন্ত এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। পুলিশ যে তদন্তে আন্তরিক, গাফিলতির সুযোগ নেই— এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তবে যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগকারীকে অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ করতে হবে আসলে ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ সদস্য ঘটনায় জড়িত।
অভিযুক্ত কনস্টেবলকে তদন্তের স্বার্থে বরখাস্ত নাকি তদন্তে দোষী হবার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে খবরটি যেভাবে আসছে তাতে পুলিশের তদন্ত নিয়ে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা যাতে থাকে এবং গাফিলতির অভিযোগ না উঠে সেজন্য ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, আজ সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম নাজমুল তারেক। পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থেকে তিনি ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
উল্লেখ্য, তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষিকা শনিবার অভিযোগ করেন, তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এক ব্যক্তি তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ওই প্রভাষক সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফার্মগেট মোড় পার হয়ে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার সময় সেজান পয়েন্টের সামনে মোটরবাইকের ওপর বসে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওই, টিপ পরছোস ক্যান’? শিক্ষিকা পেছন ফিরে প্রতিবাদ করলে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ওই ব্যক্তি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন (লেখার যোগ্য নয়)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গালিগালাজের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি বাইক স্টার্ট করে ওই নারীর গায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। ওই নারী পিছিয়ে গেলেও তার পায়ে আঘাত লাগে। বাইকটির নম্বর ১৩৩৯৭০ হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই নারী।