ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র পণ্য কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী বজলুর রশিদ ও গাছা জোনের (অঞ্চল-৩) নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবী।
তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটি বুধবার স্থানীয় বোর্ডবাজারে টিসিবিপণ্য ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মা জেনারেল স্টোরের দোকান ও গোডাউন সীলগালা করেছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং টিসিবি’র পণ্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান ও এর গোডাউন সীলগালা করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তদারকি করছে। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। তদন্তে যে-ই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সকল কাউন্সিলরকে নিয়ে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এদিকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জারা-সারা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ আহমেদ শান্ত জানান, ঘটনার দিন রবিবার তিনি কাউন্সিলর কার্যালয় প্রাঙ্গণে ট্রাকে করে নির্ধারিত ৫২৫ জন কার্ডধারীর মধ্যে ৩৩৫ জনের কাছে পণ্য সরবরাহ করেন। বাকি কার্ডধারীদের না পেয়ে সন্ধ্যার পর তিনি ১৯০ জন কার্ডধারীর পণ্য ওয়ার্ড সচিব আবু সাঈদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে কাউন্সিলরের কাছ থেকে বিক্রির প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজারে একজন ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে টিসিবি পণ্য উদ্ধার ও শাহীন নামের একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে স্থানীয় গাছা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে এবং গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে।